Madhukhali, Faridpur EMIS CODE : 91314050401 ( Contact us - 01711138848 )


                                                   আমাদের  বৈশিষ্ঠ


 শিক্ষা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এজন্য সরকার ইতিমধ্যে শতভাগ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করেছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখার জন্য অর্থাৎ শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য মিড-ডে মিল, শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান সহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করেছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগে দেশে ৬৫৫৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করন করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধাপে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কিন্তু শিক্ষা নিয়েও একশ্রেণির মানুষ সেবার নামে ব্যবসা শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে ব্যঙের ছাতার মত দেশে প্রায় ৭০ হাজার কিন্টারগার্ডেনসহ বিভিন্ন ধরনের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এই ৭০ হাজারের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান বাদে অধিকাংশেরই নেই মানসম্মত শিক্ষাদান ব্যবস্থা। সরকারী বিদ্যালয়ের চেয়ে সেখানে অধিকাংশ সুযোগই অনুপস্থিত। তাই কেন আপনার সন্তানকে বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াবেন তার কিছু কারন-

১। বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০০ থেকে ৩০০০ বা তারও বেশি টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। এছাড়াও ভর্তি ফি, সেশন ফি, স্পোর্টস, শিক্ষা সফর, নোট, গাইড বিতরন সহ বিভিন্ন নামে শিক্ষার্থীদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করা হয়। অধিকাংশ অভিভাবকের জন্য এই ব্যয় বহন করা কষ্ট সাধ্য। বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এধরনের কোন টাকা দিতে হয় না।

২। শিক্ষার্থীর রুচি ও সামর্থ্যের বাইরেও বেসরকারী স্কুলে সরকার নির্ধারিত বইয়ের বাইরেও অতিরিক্ত অনেক বই পড়ানো হয় এই অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা বহন করতে শিক্ষার্থীর নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে।

৩। বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন বই কিনতে হয়না। বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহপাঠ্যক্রমের নামে বিভিন্ন বই কিনতে বাধ্য করা হয়।

৪। বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিশুকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের এই সুযোগ নাই।

৫।বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। পিটিআিইতে ১ বছরের প্রশিক্ষণ ছাড়াও বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। বর্তমানে শিক্ষকদের বিদেশেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে উক্ত শিক্ষকগণ নবতর ধ্যান-ধারনা প্রয়োগ করে শিক্ষাদান করে থাকেন।

বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এইভাবে প্রশিক্ষিত না। যদিও কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ নিজস্বভাবে প্রশিক্ষিত।

৬।বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেকটাই খোলামেলা। শিশুদের খেলার জন্য রয়েছে মাঠ। বিদ্যালয়ের ভবনই পাকা এবং আকর্ষণীয় শ্রেণিকক্ষ।

ওয়াস  ব্লকের আওতায় রয়েছে একতলা স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। 

৭। সরকার বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর বিতরন করেছে। এসব আধুনিক এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করা হয়। 

৮। বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ আছে। বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ খুবই সীমিত।

৯। বর্তমানে বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন ধরনের শারীরিক বা মানসিক শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে শিক্ষালাভের সুযোগ পায়।

সরকারী এত সুযোগ সুবিধার পরেও আমাদের দেশের অনেক সচেতন এবং বিত্তশালী অভিভাবক তাদের সন্তানদের বিভিন্ন ধরনের বেসরকারী স্কুলে পড়াচ্ছেন। অনেকে মনে করেন তাদের সন্তানের জন্য মাসে যত বেশি খরচ হবে তত তাদের মর্যাদা বাড়বে।

তবে বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র সঠিক সেবা প্রদানের মাধ্যমেই তারা অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগণ এবং শিক্ষা প্রশাসনকে আরও আন্তরিক এবং সঠিভাবে তাদের সেবা প্রদান করতে হবে।

তাহলেই সকল অভিভাবক তাদের সন্তানকে বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন। আর সেটা দেশের মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনবে।

Post a Comment

0 Comments